Passport

ই-পাসপোর্ট আবেদনের কোন স্ট্যাটাসের মানে কি?

ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে আসার পর থেকে আবেদনকৃত পাসপোর্টের অবস্থা ধাপে ধাপে পরিবর্তন হতে থাকে। আবেদনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসের বিভিন্ন মানে আছে। আবেদনের বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখে কিভাবে বুঝবেন আপনার পাসপোর্ট কোথায় আছে সেই বিষয়েই আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের কোন স্ট্যাটাসের মানে কি? e-Passport Status Meaning

আবেদনের পর থেকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হওয়ার পর একজন আবেদনকারী ই-পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। সাধারণ আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লেগে যায়। তবে আবেদনের পর থেকে পাওয়ার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়গুলোতে নিজেদের পাসপোর্টের ‘স্ট্যাটাস চেক’ বা আবেদন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারেন আবেদনকারী।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের কোন স্ট্যাটাসের মানে কি?

দেশে পাসপোর্টের বিষয়ে দিনে দিনে অ্যানালগের সময় ফুরিয়ে আসছে। ডিজিটালের দিকে অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। সেজন্য পাসপোর্ট সেবাপ্রার্থীদের জন্য ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ই-পাসপোর্ট শুরু হওয়ার পরপরই অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছেন অনেকে। তবে সাধারণ আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্ট পেতে প্রায় ৩০ দিন লাগছে। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পর পাসপোর্টের অবস্থান সহজেই জানতে পারবেন আবেদনকারী।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর লিংকে গিয়ে সহজেই ই-পাসপোর্টের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে ‘স্ট্যাটাস চেক’ করতে পারেন। ই-পাসপোর্ট আবেদনের পর আবেদনকারীকে ১০ ধরনের স্ট্যাটাস দেখানো হয়।

https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status

১. ‘সাবমিটেড’ (Submitted)। পাসপোর্টের আবেদনটি সফলভাবে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েব সার্ভারে জমা হয়েছে।

২, ‘অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সিডিউল’ (Appointment Scheduled)। আবেদনকারীর সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ সম্পূর্ণ হয়েছে।

৩. ‘এনরোলমেন্ট ইন প্রসেস’ (Enrolment in Process)। এই বার্তাটি আবেদনকারীর আবেদনপত্রের হার্ড কপি (ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টসহ) পাসপোর্ট অফিসে জমা হয়েছে। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায়। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-২ দিন লাগে।

৪. ‘পেন্ডিং এসবি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’ (Pending SB Police Clearance)। পাসপোর্টের নতুন আবেদন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ৩-১০ দিন লাগে। ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি সময় লেগে যায়। পুলিশ অফিসার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যতদিন সম্ভব ততদিন সময় নিতে পারবেন। তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হলেই রিপোর্ট দেন।

৫. ‘পেন্ডিং ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল’ (Pending Final Approval)। পুলিশ ভেরিফিকেশনে সন্তোষজনক রিপোর্ট দিলে আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালকের (এডি) অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-৪ দিন লাগে।

৬. ‘অ্যাপ্রুভড’ (Approved) বার্তাটিতে বোঝায়- অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (এডি) পাসপোর্টটি প্রিন্টের অনুমোদন দিয়েছেন। ধাপটি সম্পূর্ণ হতে ১-৩ দিন লাগে।

৭. ‘পেন্ডিং ইন প্রিন্ট কিউ’ (Pending in Print Queue) দেখলে সেবাপ্রার্থীকে বুঝতে হবে- পাসপোর্ট প্রিন্টে পাঠানো হয়েছে। ধাপটি শেষ হতে ৩-১৪ দিন লাগে।

৮. ‘পাসপোর্ট শিপড’ (Passport Shipped) বার্তাটি বোঝায়, পাসপোর্টটি সফলভাবে প্রিন্ট হয়েছে এবং তা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হচ্ছে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-৩ দিন লাগে।

৯. ‘পাসপোর্ট রেডি ফর ইস্যুয়েন্স’ (Passport Ready for Issuance) বলতে পাসপোর্টটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছেছে। আবেদনকারী দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন।

১০. পাসপোর্ট নেয়ার পর আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে ‘পাসপোর্ট ইস্যুড’ (passport issued) ম্যাসেজ যায়।


ePassport Status Meaning

ePassport Status Meaning | ই পাসপোর্ট এর কোন Status এর মানে কি

পাসপোর্টের কোন স্ট্যাটাসের কি মানে?

অনলাইনে ই পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করে জেনে নেয়া যায় পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান আবস্থা এবং পাসপোর্ট আবেদনে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। পাসপোর্টের কোন স্ট্যাটাসের কি অর্থ এবং আবেদন অনেক দিন পেন্ডিং থাকলে কি করতে হবে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা হলে সচারাচর সবথেকে বেশি যে স্ট্যাটাস গুলো দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে এবং কোন স্ট্যাটাসের কি মানে বুঝায়। আবেদন কারির কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে বিস্তারিত।

সচারাচর দেখা যায় এমন কিছু ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস হলো-

  • Submitted
  • Appointment Scheduled
  • Enrolment in Process
  • Pending Backend Verification
  • Pending SB Police Clearance
  • Pending Final Approval
  • Approved
  • Pending in Print Queue
  • Passport Shipped
  • Passport Ready for Issuance
  • Passport Issued
  • Backend Verification
  • Send for Rework
  • ABIC Check Failed

Passport Status এর আর্থ বোঝার আগে চলুন জেনে নেই আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে। এর জন্য ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে হয়।

ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক

অনলাইনে ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য পাসপোর্ট চেকিং ওয়েব সাইটে ভিজিট করে পাসপোর্ট আবেদনের অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা OID এবং জন্ম তারিখ দিয়ে স্ট্যাটাস “Check” বাটনে চাপতে হবে। তারপর আপনার পাসপোর্ট আবেদন কোন ধাপে আছে বা কোন সমস্যা আছে কি না তা দেখতে পাবেন।

Passport Status Check করার আগে একটি ভেরিফিকেনশন করতে হয়। “I am Human” এটি টিক করে দিতে হবে। প্রয়োজনে কেপচা পূরণ করা লাগতে পারে। সবশেষে ই পাসপোর্টের স্ট্যাটাস দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার অনলাইন ই পাসপোর্ট কি আবস্থায় আছে।

পাসপোর্ট স্ট্যাটাস কোনটি কি বুঝায়?

ই পাসপোর্ট আবেদনের ২১দিনের মধ্যে গ্রাহকের হাতে পাসপোর্ট পৌছে যায়। বর্তমানে ১৫দিনের মধ্যেও রেগুলার ডেলিভারিতে পাসপোর্ট বের হয়ে যায়। তাছাড়া এক্সপ্রেস ও সুপার-এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে অনেক কম সময়ে ই পাসপোর্ট হাতে চলে আসে।

এখন চিন্তার বিষয় হলো পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়ার মাসের পর মাস চলে গেলেও পাসপোর্ট বের হবার কোন নাম না থাকা। এমতাবস্থায় আমাদের উচিৎ অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করা।

ধরে নিচ্ছি আপনি আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস যাচাই করেছেন। এখন স্ট্যাটাসের অর্থ জানতে এই পোস্ট পড়ছেন। তা হলে আপনি সঠিক স্থানে আছেন। এখন আমরা একসাথে পাসপোর্টের কোন স্ট্যাটাসের কি মানে বহন করে জানবো।

Submitted

ই পাসপোর্টের আবেদন সম্পন্ন করে অনলাইনে জমা দেয়া হলে এটি সাবমিটেড দেখাবে। আমরা জানি Submitted মানে হচ্ছে জমা দেয়া। তাই পাসপোর্ট স্ট্যাটাসে Application Submitted দেখতে পেলে বুঝে নিবেন আপনার আবেদন সফল ভাবে করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় আপনাকে পাসপোর্ট আফিসে জমা দিতে হয় এমন সব কাগজ রেডি করে প্রস্তুত হতে হবে। ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগ তা না জানলে দেখে নিন আমাদের অন্য আরেকটি লিখা, যেখানে পাসপোর্ট আফিসে কি কি কাগজ জমা দিতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

অনলাইন ই পাসপোর্ট পেনেন্ট না করে থাকলে ব্যাংক ড্রাফট করে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে অনলাইনে ই পাসপোর্ট পেমেন্ট দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

Appointment Scheduled

সাধারণত বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস গুলোতে Appointment Scheduled এই স্ট্যাটাস বেশি দেখা যায়। এই স্ট্যাটাস এর মানে হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসে আপনার সাক্ষাতের জন্য একটি সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। Appointment Scheduled স্ট্যাটাসের সাথে তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকে।

আপনাকে উল্লেখিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। যদি আবেদন সাবমিট করার পর এই স্ট্যাটাসটি দেখতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট এর ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ এবং আবেদনের কাগজপত্র জমা নেওয়ার জন্য দিন নির্ধারিত করা হয়েছে।

Enrolment in Process

পাসপোর্ট আফিসে আপনার জমা দেয়া কাগজপত্র যাচাই বাছাই এবং সার্ভারে আপডেটের কাজ চলছে। আবেদনের সকল ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে Enrolment in Process এই স্ট্যাটাস ২ থকে ৩ দিনের মত স্থায়ী হয়। এই স্টেপ পার হতে কখনো আবার ১০ দিনের মতো সময় ও লেগে যেতে পারে।

Enrolment in Process এই থাপে অনেক দিন আটকে থাকলে বুঝতে হবে আবেদনে আথবা জমা দেয়া কাগজে কোন প্রকার সমস্যা হয়েছে। এমন হলে আপনার আবেদন জমা দেয়ার পাসপোর্ট আফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

Pending SB Police Clearance

নতুন পাসপোর্ট আবেদন করলে আবেদনকারীর থানা থেকে পুলিশের মাধ্যমে একটি তদন্ত রিপোর্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়। তদন্ত এবং রিপোর্ট পুলিশকর্তৃক করা হয় তাতে আবেদনকারীর তেমন কোনো ভূমিকা নেই। তবে পুলিশ আবেদনকারীর এলাকায় এসে কিংবা থানায় আবেদনকারীকে ডেকে নিয়ে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

এর জন্য আবেদন করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দেয়া হয়েছে সেটি সচল থাকতে হবে। এই নাম্বারে অথবা অভিভাবকের নাম্বারে থানা থেকে ফোন করা হয়ে থাকে। থানার ভেরিফিকেশন বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেলে পাসপোর্ট আবেদন টি পরবর্তী ধাপের জন্য পাঠানো হয়। Pending SB Police Clearance প্রক্রিয়াটি দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে।

Backend Verification

ই পাসপোর্ট আবেদনের কোন প্রকার ভুল থাকলে কিংবা প্রাথমিক তথ্যের সাথে জমা দেওয়া ডকুমেন্টের অমিল পাওয়া গেলে সেই আবেদনটি Backend Verification এ চলে যায়। পাসপোর্ট এর তথ্য সংশোধন করা হলে বা কোন প্রকার অমিল পাওয়া গেলে সেটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করার জন্য ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়।

Backend Verification ধাপে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধ্‌ বায়োমেট্রিক ডাটা যেমন আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনা, ছবি এবং স্বাক্ষর নিখুঁতভাবে পুনরায় যাচাই বাছাই করা হয়। আবেদনকারীর ডুপ্লিকেট ভোটার (ডবল ভোটার) অথবা NID ডাটাবেজের কোন তথ্যের সাথে অমিল পাওয়া গেলে Backend Verification Failed বলে আবেদনটি বাতিল করা হবে।

Pending Backend Verification

পাসপোর্ট আবেদন বেকেন্ড ভেরিফিকেশনের জন্য চলে গেলে ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস Pending Backend Verification দেখায়। সাধারণত ২-১ দিনের মধ্যেই দেখেন ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়ে পরবর্তী ধাপের জন্য পাঠানো হয়।

আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদনটি যদি Pending Backend Verification এর জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পেন্ডিং থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আবেদনের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। যে সকল কারণে একটি পাসপোর্ট আবেদন Pending Backend Verification স্ট্যাটাসে থাকে-

  • যদি আগে পাসপোর্ট থাকে এবং তা গোপন করা হয়
  • আগের পাসপোর্টের সাথে তথ্যের অমিল ধরা পরলে
  • অন্য কোন নাগরিকের সাথে আপনার তথ্যের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে
  • অন্য কার সাথে ফিঙ্গার মিলে গেছে
  • অন্য কার সাথে স্বক্ষর মিলে গেছে

আপনার আবেদনটি দীর্ঘদিন যাবত এই অবস্থায় পড়ে থাকলে আপনাকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সহকারী পরিচালক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা সত্যায়িত করার মাধ্যমে পাসপোর্টে অনুমোদন করতে পারে।

Send For Rework

এর মানে হচ্ছে পাসপোর্ট আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন তথ্য অমিল রয়েছে। তাছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা থানা ভেরিফিকেশন সন্তোষজনক না হলেও Send For Reword স্ট্যাটাস দেখায়।

এমতাবস্থায় আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সাথে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মহোদয় এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হবে।

Pending Final Approval

এর মানে হচ্ছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় আছে। থানার ভেরিফিকেশন অর্থাৎ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পজিটিভ হলে ই পাসপোর্ট আবেদন Pending Final Approval স্ট্যাটসে চলে যায়। পাসপোর্ট এর সকল কিছু ঠিক রয়েছে এখন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতির অপেক্ষায় আছে।

পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বা সহকারি পরিচালকের আনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। জমাকৃত আবেদনের সংখ্যার উপর নির্ভর করে এই ধাপটি শেষ হতে ১ থেকে ২ দিন সময় লাগে। প্রচুর পরিমাণে আবেদন জমা থাকলে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

Approved

পাসপোর্ট আবেদনের সম্পূর্ণভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন আপনার পাসপোর্ট প্রিন্ট হয় সেটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে চলে আসবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাধারণ ডেলিভারিতে একটি পাসপোর্ট হাতে আসতে ১৫ থেকে ২১ দিন সময় লাগে।

Pending in Print Queue

‘পেন্ডিং ইন প্রিন্ট কিউ’ (Pending in Print Queue) দেখলে সেবাপ্রার্থীকে বুঝতে হবে- পাসপোর্ট প্রিন্টে পাঠানো হয়েছে। ধাপটি শেষ হতে ৩-১৪ দিন লাগে।

Passport Shipped

‘পাসপোর্ট শিপড’ (Passport Shipped) বার্তাটি বোঝায়, পাসপোর্টটি সফলভাবে প্রিন্ট হয়েছে এবং তা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হচ্ছে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হতে ১-৩ দিন লাগে।

Passport Ready for Issuance

‘পাসপোর্ট রেডি ফর ইস্যুয়েন্স’ (Passport Ready for Issuance) বলতে পাসপোর্টটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছেছে। আবেদনকারী দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন।

Passport Issued

এর মানে হচ্ছে পাসপোর্টটি ইতিমধ্যে গ্রাহকের কাছে ডেলিভারি করা হয়েছে। আপনি যখন আপনার পাসপোর্ট গ্রহণ করেন তখন আপনার হাতের ছাপ এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয় এবং আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারি করা হয়েছে বলে সার্ভারে আপডেট হয়ে যায়।


ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

ই-পাসপোর্ট Backend Verification স্ট্যাটাস এর মানে কি?

ই পাসপোর্ট আবেদন এবং জমা দেওয়া কাগজপত্রের মধ্যে অমিল দেখা গেলে আবেদনটি বেকেন্ড ভেরিফিকেশন জন্য চলে যায়। আবেদনটি পুনরায় পর্যবেক্ষণ করে গ্রহণযোগ্য মনে হলে পরবর্তী ধাপে পাঠানো হয়।

Pending in Print Queue এর মানে কি?

এই স্ট্যাটাস এর অর্থ পাসপোর্ট টি প্রিন্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রিন্টের অপেক্ষায় আছে। জমাকৃত আয়তন সংখ্যার উপর নির্ভর করে এই স্ট্যাটাসের মেয়াদকাল 2 থেকে 7 দিন পর্যন্ত হতে পারে।

Pending Basic Check Clearance স্ট্যাটাস মানে কি?

একটি পাসপোর্ট আবেদন অফিসে জমা দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে যে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এটিকে Basic Check Clearance বলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Index