Passport

Pending Backend Verification বলতে কি বুঝায়?

Pending Backend Verification মানে কি? তা এই পোস্টে আমরা সুন্দর করে বুঝাবার চেস্টা করেছি। আপনার পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস Backend Verification এ দেখলেই কেন ভয় পাবেন না। Pending Backend verification হলো, সরকারের বিভিন্ন অনলাইনে ডাটাবেজ এ থাকা ঐ ব্যাক্তির অগোচরে ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাই করা। অর্থাৎ আপনার তথ্য প্রিন্ট হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন রকমের ইনফরমেশন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া হল, ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন এর একটি নমুনা।

আপনার পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস যদি দেখতে পান যে Pending Backend Verification এ আছে – তাহলে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।


Pending Backend Verification বলতে কি বুঝায়?

Pending Backend Verification মানে হচ্ছে পাসপোর্ট আবেদনে দেয়া তথ্য, NID, ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করা হচ্ছে। এটি পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং এটি সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়।

তবে যদি কোন তথ্য ভুল বা গরমিল ধরা পড়ে তবে এটি বেশি সময় নিতে পারে এবং পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Pending Backend Verification এর লক্ষ্য কি?

এই verification-এর purpose হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট আবেদনে দেয়া তথ্য, ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করা এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাই করা। এটি পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যেটি আপনার পাসপোর্টের নিরাপত্তা ও বৈধতা নিশ্চিত করে।

আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি যদি Pending Backend Verification এ দীর্ঘ দিন আটকে থাকে এবং আপনি যদি এর সমাধান জানতে চান। Pending Backend Verification এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, এডির সাথে সরাসরি কথা বলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া।

আরো দেখুন: ই-পাসপোর্ট আবেদনের কোন স্ট্যাটাসের মানে কি?

সোজা কথায়, Pending Backend Verification বলতে, পাসপোর্ট আবেদনের পর আপনার তথ্য মেলানোর জন্য যে অনুসন্ধান করা হয়, তাকে বুঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ধরেন একটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলেন। পাসপোর্ট এর স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম আপনার বায়োমেট্রিক তথা আপনার আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, চোখের আইরিশ ইত্যাদি সব কিছু মিলিয়ে দেখবে যে এগুলো কি পাসপোর্ট এর সার্ভারে আগে থেকে রয়েছে কিনা। 

যদি ধরেন আপনি একটি পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও নতুন আরেকটি পাসপোর্ট নাম বা যেকোনো তথ্য পরিবর্তন করে আবেদন করে থাকেন, তাহলে backend verification এ আপনার পাসপোর্ট টা manual review এর জন্য পরে থাকবে। মেনুয়ালি চেক করে যদি আপনার তথ্যের কোনো গড়মিল না পাওয়া যায়, তাহলে আপনার পাসপোর্টটি ছেড়ে দেয়া হবে এবং আপনি পরবর্তি ধাপগুলো পার করে পাসপোর্ট টি হাতে পাবেন। 

স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেশিরভাগ বেকেন্ড ভেরিফিকেশন ছাড় পেয়ে যায়। কিন্তু যারা তথ্যের গোজামিল করেন, তারাই ধরা খেয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে ছোট খাটো পরিবর্তনেও বেকেন্ড ভেরিফিকেশনে আটকে যায় পাসপোর্ট। এগুলো Backend Verification এ যারা কাজ করেন, উনারা দেখে ক্লিয়ার করে দেন। 

তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে না জানিয়ে চুপে চুপে ২য় পাসপোর্ট করতে যাবেন না। ধরা পড়ে যাবেন। 


সচরাচর জিজ্ঞাসা

Pending backend verification হলো পাসপোর্ট প্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ধাপে আবেদনকারীর সম্পর্কে সরকারের কাছে থাকা যাবতীয় সোর্স থেকে তার সম্পর্কে তথ্য যাচাই করা হয়।

Backend Verification কেন হয়?

আবেদনকারীর দেয়া তথ্যসমূহ সরকারের কাছে থাকা ডাটাবেজ থেকে যাচাই-বাচাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে pending backend verification হয়ে থাকে। এটি সর্বনিম্ন ১/৩ দিন এবং সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। Backend Verification স্ট্যাটাসটি যদি ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ এবং ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। সেখানে সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলেই সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। 

শেষ কথা

আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করেছি pending backend verification মানে কি? Backend সমস্যার সমাধান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি। আশাকরি আমাদের এই নিবন্ধটি থেকে সকলে pending backend verification সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন। 

Pending backend verification সম্পর্কিত বা ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তবে আপনার প্রশ্নটি লিখুন নিচে কমেন্ট সেকশনে। আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে দ্রুত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Index